হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের অবদান কী ছিল ?

হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আন্দোলন : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহের জন্য আন্দোলন করেছিলেন।

বিদ্যাসাগর ও বিধবা পুনর্বিবাহ আন্দোলন

হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের অবদান কী ছিল

শাস্ত্রের উদ্ধৃতি

বিদ্যাসাগর নারীর অকাল বৈধব্য জীবনের দুঃখদুর্দশা দেখে বিচলিত হয়েছিলেন। তিনি সমাজে বিধবাবিবাহ প্রবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেন। বিধবাবিবাহ যে শাস্ত্রসম্মত তা প্রমাণ করার জন্য তিনি বিভিন্ন প্রাচীন শাস্ত্রের উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছিলেন। পরাশর সংহিতার একটি শ্লোক উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে, “স্বামী নিরুদ্দেশ হলে, মারা গেলে, ক্লীব হলে, সংসারধর্ম পরিত্যাগ করলে অথবা পতিত হলে স্ত্রীর পুনর্বিবাহ শাস্ত্রসম্মত।”

জনমত গঠন

তিনি বিধবাবিবাহের পক্ষে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে দুটি পুস্তিকা রচনা করেন। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ অক্টোবর ১০০০ জনের স্বাক্ষর-সংবলিত আবেদনপত্র সরকারের কাছে পেশ করেন। অপরদিকে বিধবাবিবাহের বিরুদ্ধে রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে গোঁড়া হিন্দুরা ৩৬,৭৬৩ জনের সইযুক্ত আবেদনপত্র পাঠান।

আইন প্রণয়ন

ব্রিটিশ সরকার বিদ্যাসাগরের আন্দোলনে প্রভাবিত হয় এবং ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই আইন জারি করে বিধবাবিবাহ আইনসম্মত বলে ঘোষণা করে।

বিধবাবিবাহ আন্দোলন ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রে উইডো ম্যারেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। বীরেশলিঙ্গম পাণ্ডুলু দাক্ষিণাত্যে বিধবাবিবাহ আন্দোলন শুরু করেন।

====>>> Berger paints job vacancy in kolkata

Leave a Comment